গর্ভধারণের জন্য সহবাসের নিয়মগুলো কী কী? — ডা. তাসনিম জারা (চিকিৎসক, ইংল্যান্ড)
গর্ভধারণের জন্য সহবাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম এবং টিপস নিচে দিলাম যা অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করে:
গর্ভধারণের জন্য সহবাসের নিয়মগুলো:
১. সঠিক সময়ে সহবাস করা
গর্ভধারণের জন্য ovulation বা ডিম্বস্ফূরণ সময়টাতে সহবাস করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত মাসিক চক্রের মাঝামাঝি দিনে (১৪তম দিন, যদি ২৮ দিনের চক্র হয়) ডিম্বস্ফূরণ ঘটে। এই সময়েই সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২. নিয়মিত সহবাস
মাসিক চক্রের ১০ থেকে ১৬ দিনের মধ্যে ২-৩ দিন অন্তর অন্তর সহবাস করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়ে, কারণ শুক্রাণু কিছুদিন ধরে সৃষ্টিশীল থাকে।
৩. সহবাসের পজিশন
যে পজিশনে শুক্রাণু সহজে জরায়ুতে পৌঁছাতে পারে, যেমন মিশ্র পজিশন (যেখানে পুরুষ উপরে থাকে), তা গর্ভধারণে সহায়ক। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়।
৪. সহবাসের পরে শুয়ে থাকা
সহবাসের পর ১০ থেকে ১৫ মিনিট শুয়ে থাকা ভাল যাতে শুক্রাণু গর্ভাশয়ে পৌঁছাতে পারে। দ্রুত উঠলে শুক্রাণু বের হয়ে যেতে পারে।
৫. সহবাসের পর জরায়ু পরিষ্কার করার প্রয়োজন নেই
অনেকে সহবাসের পর জরায়ু পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন, যা শুক্রাণু বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়। তাই এ কাজ করা উচিত নয়।
৬. মদের ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা
গর্ভধারণের জন্য শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা জরুরি। মদ ও ধূমপান গর্ভধারণে প্রভাব ফেলতে পারে, তাই এ থেকে বিরত থাকা ভালো।
৭. ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া
যদি এক বছর পর্যন্ত নিয়মিত সহবাসের পরও গর্ভধারণ না হয়, তাহলে প্রজনন বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
৮. স্ট্রেস কমানো
মানসিক চাপ কমালে শরীর ভালো থাকে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
আপনি যদি চান, আমি গর্ভধারণের জন্য সঠিক সময়ে ডিম্বস্ফূরণ নির্ণয় করার পদ্ধতি বা আরও বিস্তারিত গাইডলাইন দিতে পারি। বলবেন?
No comments